রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল
দেশে ফিরতে মরিয়া লেবাননের শ্রমিকরা

দেশে ফিরতে মরিয়া লেবাননের শ্রমিকরা

লেবাননে অবস্থানরত হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে ফিরে আসার জন্য বৈরুতের দূতাবাসে আবেদন করলেও তাদের ফেরানোর ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারছে না সরকার। প্রবাসী এ শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পাশাপাশি আলোচনা চলছে বলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে লেবাননে রাজনৈতিক সংকট ও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এবং সর্বশেষ বৈরুত বিস্ফোরণের পর এক প্রকার কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা। এমন পরিস্থিতিতে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকার কথা জানিয়ে প্রবাসী শ্রমিকরা বাংলাদেশে ফেরত আসতে চাইছেন। বৈরুতে তিন বছর ধরে একটি হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করছেন চট্টগ্রাম ফটিকছড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী হোসেন। প্রথম বছর বেশ ভালো উপার্জন করলেও চলতি বছরের করোনা ভাইরাস মহামারী, তার ওপর গত আগস্টে বৈরুতের ভয়াবহ বিস্ফোরণে তার মতো বহু প্রবাসী বিপর্যয়ের মুখে পড়েন। ওই বিস্ফোরণে দেশটির খাদ্য গুদাম ছাই হয়ে যাওয়ায় খাদ্যে আমদানিনির্ভর এ দেশটিতে চরম খাদ্য সংকট দেখা দেয়।

এ ছাড়া আর্থিক মন্দার কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাংলাদেশিরা চাকরি হারাতে থাকেন। আবার যাদের চাকরি আছে লেবানিজ মুদ্রার মান হু হু করে পড়ে যাওয়ায় তারাও চলতে পারছেন না। আলী হোসেন জানান, আগে যে বেতন পেতেন সেটা লেবানিজ মুদ্রা থেকে ডলারে- এরপর টাকায় ভাঙানোর আগে যে পরিমাণ অর্থ পেতেন, এখন পান তার আট থেকে নয় দশগুণ কম। উল্টো অনেকে টিকে থাকতে বাধ্য হয়ে দেশ থেকে টাকা আনছেন। তিনি বলেন, আগে বেতন ভাঙ্গিয়ে ৩২ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা পাইতাম। এখন পাই ৪ হাজার টাকা। এ টাকায় বাড়ি ভাড়া দেব কি, খাব কি আর দেশে পাঠাব কি। দেশ ওেথকে টাকা আনতে আনতে বাড়ি বিক্রি করতে হয়েছে। এইভাবে তো চলে না।

এমন অবস্থায় লেবাননে অবস্থানরত সীমাহীন কষ্টে থাকা বাংলাদেশিরা জরিমানা গুনে হলেও দেশে ফিরতে মরিয়া। আলী হোসেন বলেন, যাদের চাকরি নেই তারা রাস্তাঘাটে বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করে চলে, অনেকে ভিক্ষা করে। এর চাইতে দেশে থাকলে কিছু কর্ম করে খেতে পারব। আমরা দেশে ফিরতে চাই। কিন্তু দূতাবাসে গেলে আমাদের কথা ওরা শুনতেই চায় না, দুর্ব্যবহার করে।

সরকারি সূত্র অনুযায়ী, প্রায় ৪০ লাখ জনসংখ্যার লেবাননে বৈধ অবৈধ মিলে অন্তত দেড় লাখ বাংলাদেশি কাজ করেন। বিভিন্ন বাসবাড়িতে নারী শ্রমিক, গৃহকর্মী হিসেবে আর বেশিরভাগ পুরুষ কাজ করেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে। তবে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে লেবাননে রাজনৈতিক সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মুদ্রার মান পড়ে যাওয়াসহ এক কথায় অর্থনৈতিক মন্দার কবলে রয়েছে। তার মধ্যে করোনা ভাইরাস মহামারী এবং সবশেষে বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক রূপ নেয়। এ কারণে দেশটিতে থাকা হাজার হাজার বাংলাদেশি দেশে ফিরতে আবেদন করেছে বলে জানান দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইংয়ের প্রথম সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন। তবে এসব আবেদন কবে গ্রহণ করে শ্রমিকদের ফেরত পাঠানো হবে, সেটা আলোচনার ভিত্তিতে শিগগিরই জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মামুন বলেন, এ বছর আমরা সাড়ে ছয় হাজার কর্মীকে ফেরত পাঠিয়েছি। আগে যারা আবেদন করেছিল তাদের সবাইকে পাঠানোই শেষ হয়নি। তার ওপর হাজার হাজার মানুষকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হুট করে নেওয়া যায় না। এ জন্য পরিকল্পনা লাগে। এর সঙ্গে দুই দেশের সরকার, দূতাবাস, এয়ারলাইন্স সবকিছু জড়িত। আমরা আবেদন পাচ্ছি। এটা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এদিকে যেসব শ্রমিকের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই দূতাবাস তাদের ফিরিয়ে নিতে কোনো দায়িত্ব নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করে আসছে ভুক্তভোগীরা। এমন পরিস্থিতিতে লেবাননে আটকাপড়া শ্রমিকদের বিশেষ ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com